চট্টগ্রামে আওয়ামীলীগ নেতার কান্ড! আগে ছিল আওয়ামীলীগ এখন স্বপ্ন বিএনপির বড় নেতা!

৭১ সংবাদ প্রতিদিন :
বন্দর নগরী চট্টগ্রামে সাবেক স্বৈরাচারী সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা এখন বিএনপিতে এসে ঘোল পাল্টিয়ে হয়ে গেছেন নামধারী বিএনপি’র নেতা কর্মী। বনাম সুবিধাবাদী দখলবাজের ভূমিকায় কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে স্বৈরাচার সরকারের অধীনে তৎকালীন আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের নেতাকর্মীরা বর্তমানে এরা চট্টগ্রামের বিএনপিতে গা ঢাকা দিয়েছে।
বিশেষ করে এক সময়কার ফ্যাসিবাদী সরকারের নেতা খলিলুর রহমান নাহিদ,সাবেক ইসলামিয়া কলেজের ভিপি, ও আজম নাসির উদ্দিন সাবেক চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী উক্ত দলের সাবেক চট্টগ্রাম ১১ আসনের এমপি এম এ লতিফের ছত্রছায়ায় থেকে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা মশিউল আলম স্বপন বর্তমানে এ সমস্ত আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের বর্তমান ব্যবসা-বাণিজ্য গুলো বিএনপি’র নেতাকর্মীরা নিয়ন্ত্রণ করছে। জানা যায়যে একসময় আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকায় অবস্থায় বিএনপি’র নেতা কর্মীদের দুরদিনে আওয়ামী লীগে স্থান দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তখন সুবিধা ভোগ করে বিএনপির ব্যবসা-বাণিজ্যগুলো পরিচালনা করত বর্তমানে তার বিপরীতে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের ব্যবসা-বাণিজ্য গুলো বিএনপি’র নেতাকর্মীরা দেখাশুনা করছে বলে জানা যায়।
চট্টগ্রামের মানুষ একসময় নিরাপদে রাতে বাসায় ঘুমাতে পারেনি বর্তমানে তারাই আবার বিএনপিতে যোগ দিয়েছে সুবিধার নাম আর পায়তারা চালাচ্ছে । জানাযায় যে তারা এখন বিএনপি’র ছত্রছায়ায় থেকে সাধারণ মানুষ ব্যবসায়ী সবাইকে জিম্মি করে সর্বত্র চাঁদাবাজির মহোৎসব চালাচ্ছে। এর অত্যাচার থেকে রেহাই পাচ্ছে না চট্টগ্রাম বন্দর শ্রমিক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, শ্রমিক নেতা, গার্মেন্টস শ্রমিক ফুটপাতে ব্যবসায়ী কেহ চাঁদা না দিয়ে পাচ্ছে না এই আওয়ামী দলবদল কারি বিএনপি’র বর্তমান নেতা কর্মীদের কাছ থেকে রেহাই ।
উল্লেখ্য যে একসময় যেখানে কর্ণফুলী ঘাটে বিএনপি বলতে কেউ ছিল না আওয়ামী লীগের রাম রাজত্ব ছিল সেখানে সেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখন সাইনবোর্ড পাল্টিয়ে অফিসে ঝুলিয়েছেন জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ঝুলিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে নোংরামির রাজনীতি। অন্যদিকে সদরঘাট এলাকার এক সময়কার আওয়ামী ছাত্রলীগের কান্ডারী হিসেবে জয় বাংলার স্লোগানে মুখরিত ও পরিচিত মুখ গত ৫ই আগস্ট ২০২৪ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের উপর হামলাকারী আওয়ামী বিএনপি’র ছত্রছায়ায় থেকে আওয়ামী লীগ থেকে রদবদল করে পালাক্রমে বিএনপিতে আশ্রয় নিয়ে বড় নেতার পদবী দখল করে অপরাধ অপকর্ম চাঁদাবাজি, , রাহাজানি দখল বাণিজ্য চালাচ্ছে।
বিএনপিতে অবস্থান নিয়ে বিএনপি’ ও আওয়ামী লীগের সুবিধাবাদী নেতা মশিউল আলম স্বপনের ছত্রছায়ায় থেকে অপরাধ অপকর্মসহ চাঁদাবাজিতে লিপ্ত রয়েছে। ছাত্রলীগের ক্যাডার বিএনপি’র দলীয় নেতাকর্মী ও আমির খসরু মাহমুদের নাম ভাঙ্গিয়ে চট্টগ্রামে বিএনপি নেতা পরিচয়ে সদরঘাট এলাকার লিটন ও সুবিধা বাদী নেতা :মশিউল আলম স্বপনের ছত্রছায়ায় নেতা কর্মিদের ব্যবসা , বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের ব্যাপক সুনামানি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা।
তাই চট্টগ্রামের বিজ্ঞ বিএনপির রাজনীতিবিদরা এসব সুবিধাবাদী আওয়ামী লীগের লুটেরা বাহিনীর সদস্য আবু তারেক রনি, , সহ বিএনপি’র নেতৃত্বদানকারী নেতা লিটন ও সুবিধা বাদী নেতা মশিউল আলম স্বপনের বিরুদ্ধে বিএনপি’র উচ্চপর্যায়ে দলীয়ভাবে জরুরী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। অন্যথায় এ সমস্ত আওয়ামী সুবিধাবাদী নেতাকর্মীদের অপরাধ অপকর্মের জন্য বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনকে আগামীতে চরম মাসুল দিতে হবে বলেও প্রকৃত বিএনপি’র রাজনীতিবিদরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। উল্লেখ্য যে মশিউল আলম স্বপন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হয়েও খলিলুর রহমান নাহিদের একজন একনিষ্ঠ কর্মী সহ তৎকালীন আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আজম নাছির উদ্দিনের সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী হিসেবে এই মশিউল আলম স্বপন নগর জুড়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল।
বিগত ১৭টি বছর ধরে আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থেকে বিএনপি জামাতের নেতাকর্মীদের উপর বহাল তবিয়তে অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে মিথ্যা মামলায় হয়রানি সহ নানাভাবে হুমকি ধামকি ও বিএনপি জামাতের সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ লুট পাটের মত ঘটনায় মশিউল আলম স্বপন সরাসরি চট্টগ্রামের সম্পৃক্ত থেকে আওয়ামী রাজনীতিতে দুর্ধর্ষ ক্যাডারের ভূমিকা পালন করে থাকলেও বর্তমানে সেই মশিউল আলম স্বপন পুনরায় ভোল পাল্টিয়ে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় অপরাধ অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
এক সময়কার আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী মশিউল আলম স্বপন এখন কিভাবে সে বীর চট্টলার জনপ্রিয় বিএনপি’র নেতা আমির খসরু মোহাম্মদ চৌধুরীর নাম ভাঙ্গিয়ে বিএনপিতে এসে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে এতে কি বিএনপি’র মান-সম্মান ক্ষুন্ন হচ্ছে না…? ইতিমধ্যে মশিউল আলম স্বপনকে নিয়ে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা গুঞ্জন শুরু হয়েছে যেহেতু সে এক সময়কার আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের একান্ত দোসর ছিল সেই দোসর কিভাবে এখন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র চট্টগ্রাম জেলার নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় দলে এসে আশ্রয় নিয়েছে। আর এসব নেতা দের যত ব্যবসারয়েছে তা নিয়ন্ত্রণ করছেন খলিলুর রহমান নাহিদ।
তবে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন আশ্রয়তো নিয়েছেন তিনি শুধু আশ্রয় নয় বিনিময়ে কালো টাকা দিয়ে এই বিএনপিতে স্থান করে নিয়েছেন আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের কুখ্যাত দোসর মশিউর রহমান স্বপন। আসলে রাজনীতি বড় চমৎকার খেলা টাকা দিলে আওয়ামী লীগ আবার টাকা দিলে বিএনপি এভাবেই চলছে বর্তমান রাজনীতির খেলা গত ৫ই আগস্ট এর পর থেকে দেশব্যাপী রাজনীতির নামে চলছে টিকেট বাণিজ্যের মহোৎসব।
আওয়ামীলীগ করেছে তাতে অপরাধ কি টাকা দিলেই তো সে এখন বিএনপি কিংবা জামাত আর এই ফ্যাসিবাদীদের দল পরিবর্তনে কোনো সময় বিএনপিতে আসতে পারে বড় ধরনের দুর্যোগ কিংবা দুর্ঘটনা তাহলে এর দায়ভার কে নেবে…? নেবে কি বিএনপি…? নাকি অন্য কেউ সে প্রশ্নের উত্তর চায় জনগণ এবং এই প্রশ্নের জবাব আসলে কি দিতে পারবে বর্তমান সময়ের বিএনপি’র নেতাকর্মীরা জানতে চায় দেশের সচেতন দেশবাসী।
দেশের জনগণ জানতে চাই তাহলে এ সমস্ত সুবিধাবাদী নেতাকর্মীদের আশ্রয় পত্রদাতা কি চট্টগ্রামে সেই খলিলুর রহমান নাহিদ কি আসলে তাহলে এদের দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যগুলো পরিচালিত করছে নাকি রাজনীতির নামে নোংরা চক্রান্ত পরিচালনা করছেন খলিলুর রহমান নাহিদ।